সুরক্ষা নেই, ঝুকিতে ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপাতালের অর্ধশত স্টাফ
এস.এম রবি,
ডায়াবেটিস মানুষের একটি জটিল রোগ, যা কখনোই নিরাময় সম্ভব নয়, নিয়ম মেনে চললে ভালো কিন্তু একটু অনিয়ম হলেই বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে, ডায়াবেটিস রোগিদের অন্যান্য রোগ হলে তারা চরম ঝুকিতে পড়ে যায়, তাই নিয়মিত চেকআপ এর জন্য ডায়াবেটিস হাসপাতালে আসতেই হয় এর মধ্যে নতুন কোন মানুষের মধ্যে ডায়াবেটিস উপসর্গ দেখা দিলে তাদেরও আসতে হয় চেক-আপ করতে, করোনা ভাইরাস আসার আগে ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে নতুন পুরানো মিলিয়ে তিনশো সাড়ে তিনশো রুগি চিকিৎসা নিতে আসতেন, করোনা ভাইরাস আসার পর রুগির সংখ্যা কমেছে বেশ, আমরা সবাই সেবা চাই কিন্তু কখনো সেবাদানকারীর কথা ভাবতে চাই না, ঝিনাইদহ ডায়াবেটিক হাসপাতালের মোট – স্টাফ, স্বাস্থ্যকর্মি, সহ ৭৩ জন কর্মরত আছেন, এই সকল স্বাস্থ্য কর্মি ঝুকিতে আছেন বলে কেউ কেউ অভিযোগ করেন, তাদের উন্নত মানের পিপিই প্রদান করা হয়নি, নিম্নমানের পিপিই দিয়ে একই পিপিই প্রতিদিন পড়ে আসছে চাপ প্রয়োগ করা হয় হসপিটাল থেকে, মাস্ক গ্লাভস সরবারহ নেই।
প্রায় প্রায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ আছে এমন রুগি চিকিৎসা নিতে আসেন, যারা ঠান্ডা, জ্বর, শ্বাসকষ্টে ভূগছেন এমন রুগিকে স্টাফদের চাপ প্রয়োগ করে চিকিৎসা দিতে বলেন প্রাশাসনিক কর্মকর্তা শামীম ইসলাম, তার সেচ্ছাচারীতাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন হাসপাতালের অধিকাংশ স্টাফ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্বাস্থ্যকর্মি জানান, ডায়াবেটিক হাসপাতাল অনেক ভালো আয় করে কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের সুযোগ সুবিধা খুবই নগন্য, আমাদের বাড়িতে বাচ্চা ছেলেমেয়ে সহ বৃদ্ধ বাবা মা রয়েছে, জীবনে ঝুকি নিয়ে আমরা কাজ করে চলেছি কিন্তু সেই তুলনায় হসপিটাল আমাদের মুল্যায়ন করে না।
এই করোনা ভাইরাসের মধ্যে আমরা শতভাগ সুরক্ষার মাধ্যমে কাজ করতে চাই বলে তারা জানান।